• No products in the cart.

বিনিয়োগ, লাভ-ক্ষতি, মুনাফা ও মুনাফার প্রকারভেদ । ৮ম শ্রেণি গণিত

বিনিয়োগ, লাভ-ক্ষতি, সরল মুনাফা ও চক্রবৃদ্ধি মুনাফা

বিষয়বস্তু: মুনাফা (৮ম শ্রেণি গণিত)


ভূমিকা

দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক তথা আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত থাকি। এসব লেনদেনের মাধ্যমে আমরা কখনো লাভ বা মুনাফা (Profit) করি আবার কখনো লোকসানও গুণতে হয়। যেমন, শেয়ার বাজারের উদাহরন যদি দেই, তাহলে নিশ্চয় আমাদের জানা আছে যে, শেয়ার বাজারে যেমন লাভ আছে তেমনি দরপতনের কারনে ক্ষতিও আছে।

আবার আমরা ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রাখি। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত টাকা বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে মুনাফা লাভ করে। উক্ত টাকা থেকে ব্যাংক আমানতকারীকে কিছু মুনাফা দেয়।

যেহেতু আমাদের জীবনের সাথে বিনিয়োগ, ক্রয়-বিক্রয়, লাভ-ক্ষতি ইত্যাদি বিষয়গুলো জড়িয়ে আছে তাই এ সকল বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকা প্রয়োজন। এখানে এই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করা হল।

বিনিয়োগ কী?

বিনিয়োগ হলো একটি মূলধন যা দ্বারা একজন ব্যবসায়ী বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান তার ব্যবসায় সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের ব্যয় সম্পন্ন করেন।

ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য কী?

কোনো দ্রব্য ক্রয় বাবদ যে অর্থ ব্যয় করতে হয় তাকে ক্রয়মূল্য বলে। আবার, কোনো দ্রব্য বিক্রয় করে যে মূল্য পাওয়া যায় তাকে বিক্রয়মূল্য বলে।

লাভ-ক্ষতি কী?

লাভ বা ক্ষতি ক্রয়মূল্যের উপর নির্ভরশীল। কোনো দ্রব্যের বিক্রয়মূল্য যদি ক্রয়মূল্যের চাইতে বেশি হয় তাহলে লাভ হয়। অপরদিকে বিক্রয়মূল্য যদি ক্রয়মূল্যের চাইতে কম হয় তাহলে ক্ষতি হয়।

অর্থাৎ

বিক্রয়মূল্য > ক্রয়মূল্য হলে লাভ হয়।

বিক্রয়মূল্য < ক্রয়মূল্য হলে ক্ষতি হয়।

লাভ-ক্ষতি পরিমাপের সূত্র:

লাভ = বিক্রয়মূল্য – ক্রয়মূল্য

ক্ষতি = ক্রয়মূল্য – বিক্রয়মূল্য

মুনাফা (Profit) কী?

কোনো একটি খাতে অর্থ বিনিয়োগ করার কারনে একটি নির্দিষ্ট সময় পর বিনিয়োগকৃত টাকার পরিমাণ, উক্ত নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট হারের ভিত্তিতে যে অতিরিক্ত অর্থ পাওয়া যায় তাকে মুনাফা (Profit) বা সুদ বলা হয়। সাধারণত ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রাখলে, কাউকে টাকা ধার দিলে বা কোনো ব্যবসায় টাকা বিনিয়োগ করলে মুনাফা লাভ করা যায়।

মুনাফা (Profit) কত প্রকার ও কী কী?

মুনাফা দুই প্রকার। যথা: ১। সরল মুনাফা ও ২। চক্রবৃদ্ধি মুনাফা।

সরল মুনাফা (Simple Profit):

শুধু প্রারম্ভিক মূলধনের উপর প্রতিবছর যে মুনাফা হিসাব করা হয় তাকে সরল মুনাফা বলে। শুধু মুনাফা (Profit) বললে সরল মুনাফাকেই বুঝায়।

চক্রবৃদ্ধি মুনাফা (Compound Profit):

প্রতিবছর শেষে মূলধনের সাথে মুনাফা যোগ হয়ে যে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মূলধন গঠিত হয় তাকে চক্রবৃদ্ধি মূলধন বলে। আর এই বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মূলধন বা চক্রবৃদ্ধি মূলধনের উপর যে মুনাফা হিসাব করা হয় তাকে চক্রবৃদ্ধি মুনাফা বলা হয়।

এতদসংশ্লিষ্ট আরো কিছু বিষয়

সরল মুনাফা ও চক্রবৃদ্ধি মুনাফা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য আরো কিছু বিষয় সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। নিচে এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হল।

আসল বা মূলধন:

ব্যবসায় বিনিয়োগকৃত টাকা বা ব্যাংকে গচ্ছিত প্রথম টাকা বা কাউকে ঋণ হিসেবে প্রদান করা টাকাকে আসল বা মূলধন বলা হয়ে থাকে।

মুনাফা-আসল বা সবৃদ্ধিমূল:

আসলের সাথে মুনাফা (Profit) যোগ করে প্রাপ্ত টাকাকে মুনাফা-আসল বা সবৃদ্ধিমূল বলা হয়।

মুনাফার হার:

সাধারণত ১০০ টাকার ১ বছরের মুনাফাকে মুনাফার হার বলা হয়। এটি আধুনিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় প্রচলিত রয়েছে।

মুনাফার সময়কাল:

কোনো নির্দিষ্ট টাকার উপর যে সময়ের জন্য মুনাফা হিসাব করা হয় তাকে মুনাফার সময়কাল বলা হয়।

এ অধ্যায়ের সমস্যাবলী সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্রাবলি

6 responses on "বিনিয়োগ, লাভ-ক্ষতি, মুনাফা ও মুনাফার প্রকারভেদ । ৮ম শ্রেণি গণিত"

  1. ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকদের জন্য Helpful.

  2. চক্রমুনাফা কাকে বলে ? সূত্র একটু বাংলায় লিখলে ভাল হতো

    • চক্রবৃদ্ধি মুনাফা = চক্রবৃদ্ধি মূলধন – মূলধন
      প্রতি বছর শেষে মুনাফা, মূলধনের সাথে যুক্ত হয়ে নতুন মূলধন (চক্রবৃদ্ধি মূলধন) গঠনের মাধ্যমে যে মুনাফা হিসাব করা হয় তা-ই হলো চক্রবৃদ্ধি মুনাফা।

  3. Thanks for your information 👍

Leave a Message

Your email address will not be published. Required fields are marked *

top
2024 | MATHBD