গাণিতিক প্রতীক এর ধারণা
বিষয়বস্তু: গাণিতিক প্রতীক (৪র্থ শ্রেণি)
গাণিতিক প্রতীক
গণিতে বিভিন্ন ধরনের হিসাব নিকাশের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতীক বা চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। এই প্রতীকগুলোকে কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। গণিতের এই প্রতীক বা চিহ্নগুলোর কোনটি কোন শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত এবং কীভাবে এগুলো ব্যবহৃত হয় তা এখানে আলোচনা করা হলো।
গাণিতিক প্রতীকের ব্যবহার
প্রথমেই দেখে নেয়া যাক গণিতের এই সকল প্রতীকগুলো কীভাবে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্নভাবে এই প্রতীকগুলো ব্যবহৃত হয়। নিচে কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হলো:
৫+৪=৯
৭-২=৫
৩ ৯
২১
৫ ২+১০
৪৫ ১৫ =৩
৫ ৩<২৫
৪০ ৫ ≮ ২
৩
৮ ৭>৩৬
২৫ ≯ ৫২
গাণিতিক প্রতীকগুলোর শ্রেণিবিভাগ
১। সংখ্যা প্রতীক
সংখ্যা লেখার জন্য ব্যবহৃত প্রতীকগুলো সংখ্যা প্রতীক। প্রতীকগুলো হলো

সংখ্যা প্রতীকগুলো হলো যথাক্রমে শুণ্য, এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয়।
২। প্রক্রিয়া প্রতীক
গণিতের চারটি প্রক্রিয়ার জন্য ব্যবহৃত প্রতীকগুলো প্রক্রিয়া প্রতীক। প্রতীকগুলো হলো,

প্রক্রিয়া প্রতীকগুলো যথাক্রমে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ।
৩। সম্পর্ক প্রতীক
সংখ্যার মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক বোঝাতে ব্যবহৃত প্রতীকগুলো সম্পর্ক প্রতীক। প্রতীকগুলো হলো,

সম্পর্ক প্রতীকগুলো যথাক্রমে সমান, সমান নয়, বৃহত্তর, বৃহত্তর নয়, ক্ষুদ্রতর, ক্ষুদ্রতর নয়।
ব্যবহারের ক্ষেত্র
০১। আটত্রিশ, আটাশ থেকে ছোট নয়।
০২। চুয়ান্ন, চুরানব্বই থেকে বড় নয়।
০৩। সাতশ বিশ, সাত হাজার বিশ এর সমান নয়।
উপরের তিনটি বাক্যকে গাণিতিক প্রতীক ব্যবহার করে প্রকাশ করলে নিম্নরূপ হবে:
ক্রমিক নং | বাক্য | গাণিতিক প্রতীক ব্যবহার |
০১ | আটত্রিশ, আটাশ থেকে ছোট নয় | ৩৮ ≮ ২৮ |
০২ | চুয়ান্ন, চুরানব্বই থেকে বড় নয় | ৫৪ ≯ ৯৪ |
০৩ | সাতশ বিশ, সাত হাজার বিশ এর সমান নয় | ৭২০ ![]() |
= ও এর ব্যবহার
প্রতীক দু’টিকে আমরা পড়বো = (সমান) ও (সমান নয়)। নিচে এই প্রতীক দু’টির ব্যবহার দেখানো হলো:

এখানে = (সমান) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। চিহ্নটির ব্যবহার সঠিক আছে। নিচে এর স্বপক্ষে ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো:
বামপক্ষে আছে ৭ ৯। ৭ ও ৯ সংখ্যা দু’টিকে গুণ করলে গুণফল ৬৩ পাওয়া যায়।
তাহলে,
বামপক্ষ = ৬৩
ডানপক্ষ = ৬৩
সুতরাং বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান।

এখানে (সমান নয়) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। চিহ্নটির ব্যবহার সঠিক আছে। নিচে এর স্বপক্ষে ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো:
বামপক্ষ = ৩২ ৮। ৩২ কে ৮ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল ৪ পাওয়া যায়।
তাহলে,
বামপক্ষ = ৪
ডানপক্ষ = ৫
সুতরাং বামপক্ষ ও ডানপক্ষ সমান নয়।
≮ ও ≯ এর ব্যবহার
প্রতীক দু’টিকে আমরা পড়বো ‘ক্ষুদ্রতর নয়’ ও ‘বৃহত্তর নয়’। নিচে এই দু’টি প্রতীকের ব্যবহার দেখানো হলো:

এখানে ≮ (ক্ষুদ্রতর নয়) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। চিহ্নটির ব্যবহার সঠিক আছে। নিচে এর স্বপক্ষে ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো:
বামপক্ষে আছে ৬৩ ৩ । ৬৩ কে ৩ দ্বারা ভাগ করলে ভাগফল ২১ পাওয়া যায়।
তাহলে,
বামপক্ষ = ২১
ডানপক্ষ = ৭
সুতরাং বামপক্ষ, ডানপক্ষ অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর নয়।

এখানে ≯ (বৃহত্তর নয়) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে। চিহ্নটির ব্যবহার সঠিক আছে। নিচে এর স্বপক্ষে ব্যাখ্যা প্রদান করা হলো:
বামপক্ষ = ৪৭ = ৪০+৭
ডানপক্ষ = ৭৪ = ৭০+৪
সুতরাং বামপক্ষ, ডানপক্ষ অপেক্ষা বৃহত্তর নয়।