লাভ-ক্ষতি, সরল মুনাফা ও চক্রবৃদ্ধি মুনাফা। ৮ম শ্রেণি গণিত

লাভ-ক্ষতি, সরল মুনাফা ও চক্রবৃদ্ধি মুনাফার ধারণা

বিষয়বস্তু: মুনাফা (৮ম শ্রেণি গণিত)

আলোচ্য বিষয়সমূহ: প্রকৃত খরচ, বিনিয়োগ, ক্রয়মুল্য ও বিক্রয়মূল্য, লাভ ও ক্ষতি, মুনাফা, সরল মুনাফা, ও চক্রবৃদ্ধি মূলধন ও চক্রবৃদ্ধি মুনাফা


প্রকৃত খরচ

ব্যবসায়ীগন ব্যবসায় সংক্রান্ত কার্যক্রমের ব্যয়সমূহ অর্থাৎ দোকানভাড়া বা দালানভাড়া, পরিবহন খরচ, কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন, কুলিভাড়া ইত্যাদির আনুষাঙ্কিক খরচ দ্রব্যের ক্রয়মূল্যের সাথে যোগ করে প্রকৃত খরচ নির্ধারন করেন।

বিনিয়োগ

দ্রব্যের প্রকৃত খরচকেই বিনিয়োগ বলা হয়। অর্থাৎ বিনিয়োগ হল একটি মূলধন যার সাহায্যে ব্যবসায়ীগন তাদের ব্যবসায় সংক্রান্ত সকল কার্যক্রমের ব্যয় সম্পন্ন করেন। উল্লেখ্য, এই বিনিয়োগকে লাভ ক্ষতি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ক্রয়মূল্য হিসেবে ধরা হয়।

ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য

কোনো দ্রব্য ক্রয়ের সময় ক্রেতা যে মূল্য বিক্রেতাকে প্রদান করে তাকে ক্রয়মূল্য বলা হয়। আবার কোনো দ্রব্য বিক্রয় করার সময় বিক্রেতা যে মূল্য ক্রেতার কাছ থেকে গ্রহন করে তাকে বিক্রয়মূল্য বলা হয়। অর্থাৎ ক্রেতার জন্য যেটি ক্রয়মূল্য বিক্রেতার জন্য সেটি বিক্রয়মূল্য।

লাভ ও ক্ষতি

কোনো দ্রব্যের বিক্রয়মূল্য যদি ক্রয়মূল্য অপেক্ষা বেশি হয় অর্থাৎ বিক্রয়মূল্য > ক্রয়মূল্য হয় তাহলে লাভ হয়। ক্রয়মূল্য অপেক্ষা বিক্রয়মূল্য যত বেশি তাকে লাভ বলা হয়।

আবার কোনো দ্রব্যের ক্রয়মূল্য যদি বিক্রয়মূল্য অপেক্ষা বেশি হয় অর্থাৎ ক্রয়মূল্য > বিক্রয়মূল্য হয় তাহলে ক্ষতি হয়। বিক্রয়মূল্য অপেক্ষা ক্রয়মূল্য যত বেশি তাকে ক্ষতি বলা হয়।

সূত্র:

১। লাভ = বিক্রয়মূল্য – ক্রয়মূল্য

২। ক্ষতি = ক্রয়মূল্য – বিক্রয়মূল্য

মুনাফা (Interest or Profit)

ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে, কোনো প্রতিষ্ঠানা বা ব্যক্তিকে টাকা ধার দিলে বা ব্যবসায় টাকা খাটালে ঐ টাকার পরিমান ও সময়ের উপর নির্ভর করে কিছু অতিরিক্ত টাকা পাওয়া যায়। এই অতিরিক্ত টাকা-ই হল মুনাফা। মুনাফাকে সাধারণত I দ্বারা প্রকাশ করা হয়। মুনাফা দুই ধরনের হয়। যথা:

১। সরল মুনাফা

২। চক্রবৃদ্ধি মুনাফা

সরল মুনাফা (Simple Interest or Simple Profit)

প্রতি বছর শুধু প্রারম্ভিক মূলধনের উপর যে মুনাফা হিসাব করা হয় তাকে সরল মুনাফা বলা হয়। মুনাফা বললে সরল মুনাফাকে-ই বুঝানো হয়।

সূত্র:

১। সরল মুনাফা I = Prn

২। মুনাফা-আসল A = P +I = P + Prn = P(1 + rn)

এখানে,

I = সরল মুনাফা (simple interest of simple profit)

P = মূলধন (principal)

r = মুনাফার হার (rate of interest)

n = সময় (time)

A = মুনাফা-আসল (amount or total amount)

চক্রবৃদ্ধি মুনাফা (Compound Interest or Compound Profit)

প্রতি বছর শেষে যদি মূলধনের সাথে মুনাফা যোগ হয়ে নতুন মূলধন তৈরি হয় তবে তাকে চক্রবৃদ্ধি মূলধন বা চক্রবৃদ্ধিমূল বলা হয়। একে সবৃদ্ধিমূলও বলা হয়ে থাকে। প্রতি বছর বৃদ্ধিপ্রাপ্ত মূলধনের উপর যে মুনাফা হিসাব করা হয় তাকে চক্রবৃদ্ধি মুনাফা বলা হয়। চক্রবৃদ্ধি মূলধন খেকে মূলধন বিয়োগ করলে চক্রবৃদ্ধি মুনাফা পাওয়া যায়।

সূত্র:

১। চক্রবৃদ্ধি মূলধন C = P(1 + r)^n

২। চক্রবৃদ্ধি মুনাফা C. I = P(1 + r)^n - P = P\{(1 + r)^n - 1 \}

এখানে,

C = চক্রবৃদ্ধি মূলধন (compound amount)

P = মূলধন (principal)

r = মুনাফার হার (rate of interest)

n = সময় (time)

C.I = চক্রবৃদ্ধি মুনাফা (compound interest)

5 comments

  1. Helpful website

  2. Md.Fakhrul Islam

    Useful for ss

  3. Very nicr

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *