বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম সংখ্যা গঠণ এবং সংখ্যার স্থানীয় মান
বিষয়বস্তু: সংখ্যা (৬ষ্ঠ শ্রেণি গণিত)
বৃহত্তম সংখ্যা গঠণ
আমরা জানি সংখ্যা গঠণের জন্য ০, ১, ২, ৩, ৪, ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ এই ১০টি প্রতীক বা অঙ্ক ব্যবহার করা হয়। এই অঙ্কগুলো ব্যবহার করে অঙ্কপাতনের মাধ্যমে সকল সংখ্যা গঠিত হয়। এই অঙ্কগুলোর মধ্যে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত অঙ্কগুলো হলো স্বার্থক অঙ্ক আর ০ (শুণ্য) হলো সংখ্যার অভাবজ্ঞাপক অঙ্ক।
এখন কতগুলো অঙ্ক দিয়ে আমাদেরকে যদি বলা হয় এই অঙ্কগুলো ব্যবহার করে বৃহত্তম সংখ্যা গঠণ করে দেখাও তাহলে আমরা কী করবো?
আমরা যা করবো তা হলো: সবার প্রথমে সবচেয়ে বড় অঙ্কটি বসাবো, তারপর তার ডানে দ্বিতীয় বড় অঙ্কটি বসাবো, তারপর তৃতীয় বড় অঙ্কটি, . . . এভাবে ক্রমান্বয়ে অঙ্কগুলো বসিয়ে গেলে বৃহত্তম সংখ্যাটি গঠিত হবে। অর্থাৎ প্রদত্ত অঙ্কগুলোকে মানের অধঃক্রমে (বড় থেকে ছোট) বসিয়ে গেলে বৃহত্তম সংখ্যা গঠিত হবে।
উদাহরণ
৭, ৪, ০, ১, ৮ অঙ্কগুলো ব্যবহার করে বৃহত্তম সংখ্যাটি হবে

নির্দিষ্ট অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যা গঠণ
এখন আমাদেরকে কোনো অঙ্ক না দিয়ে যদি বলা হয় ৫ অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যাটি লেখ, তাহলে আমরা কী করবো?
আমরা যা করবো তা হলো সংখ্যা গঠণ করার জন্য আমরা যে ১০টি প্রতিক বা অঙ্ক ব্যবহার করি তার মধ্যে বৃহত্তম অঙ্কটি অর্থাৎ ৯ কে পাশাপাশি ৫বার লিখবো। তাহলেই ৫ অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যাটি গঠিত হবে।
৫ অঙ্কের বৃহত্তম সংখ্যাটি হবে

এভাবে আমরা যেকোনো অঙ্কবিশিষ্ট বৃহত্তম সংখ্যা গঠণ করবো। যেমন, ৬ অঙ্কের বেলায় ছয়টি ৯, ৭ অঙ্কের বেলায় ৭টি ৯, . . . ইত্যাদি।
ক্ষুদ্রতম সংখ্যা গঠণ
আমাদেরকে যদি কতগুলো অঙ্ক দিয়ে বলা হয়, এই অঙ্কগুলো ব্যবহার করে ক্ষুদ্রতম সংখ্যা গঠণ করে দেখাও, তাহলে আমরা কী করবো?
এক্ষেত্রে আমরা যা করবো তা হলো, আমরা প্রদত্ত অঙ্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ছোট স্বার্থক অঙ্কটি প্রথমে বসাবো, তারপর তার ডানে দ্বিতীয় ছোট অঙ্কটি বসাবো, তারপর তৃতীয় ছোট অঙ্ক বসাবো, . . . এভাবে ক্রমান্বয়ে অঙ্কগুলো বসিয়ে গেলে ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি গঠিত হবে। তবে মনে রাখতে হবে ০ (শূণ্য) স্বার্থক অঙ্ক নয়, তাই ক্ষুদ্রতম সংখ্যা গঠণের সময় ০ কে প্রথমে বসানো যাবে না। ০ কে বসাতে হবে ক্ষুদ্রতম স্বার্থক অঙ্কের ডানে এবং তারপর অন্যান্য অঙ্কগুলো মানের উর্ধ্বক্রমে (ছোট থেকে বড়) বসাতে হবে। তাহলেই ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি গঠিত হবে।
উদাহরণ
৭, ৪, ০, ১, ৮ অঙ্কগুলো ব্যবহার করে ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি হবে

নির্দিষ্ট অঙ্কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যা গঠণ
এখন আমাদেরকে কোনো অঙ্ক না দিয়ে যদি বলা হয়, ৫ অঙ্কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি লেখ তা হলে আমরা কী করবো?
আমরা সংখ্যাগঠণের জন্য যে ১০টি অঙ্ক ব্যবহার করি তার মধ্যে ক্ষুদ্রতম স্বার্থক অঙ্কটি অর্থাৎ ১ কে প্রথমে বসাবো, তারপর অঙ্কটির ডানে চারটি ০ বসিয়ে দিবো। তাহলেই ৫ অঙ্কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি গঠিত হবে।
৫ অঙ্কের ক্ষুদ্রতম সংখ্যাটি হবে

এভাবে ১ এর ডানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ০ বসিয়ে যেকোনো অঙ্কবিশিষ্ট ক্ষুদ্রতম সংখ্যা গঠণ করতে হবে।
বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম বিজোড় ও জোড় সংখ্যা গঠণ
বৃহত্তম বিজোড় সংখ্যা গঠণ
৭, ৪, ০, ১, ৮ অঙ্কগুলো ব্যবহার করে বৃহত্তম বিজোড় সংখ্যাটি গঠণ করার জন্য আমরা প্রদত্ত অঙ্কগুলো মানের অধঃক্রমে (বড় থেকে ছোট) বসিয়ে যাবো, তবে সর্বডানের অঙ্কটি হবে ক্ষুদ্রতম বিজোড় অঙ্ক।
৭, ৪, ০, ১, ৮ অঙ্কগুলো ব্যবহার করে গঠিত বৃহত্তম বিজোড় সংখ্যাটি হবে

বৃহত্তম জোড় সংখ্যা গঠণ
অঙ্কগুলো ব্যবহার করে বৃহত্তম জোড় সংখ্যা গঠণ করার জন্য আমরা প্রদত্ত অঙ্কগুলো মানের অধঃক্রমে বসিয়ে যাবো, তবে সর্বডানে বসাবো ক্ষুদ্রতম জোড় সংখ্যা। কিন্তু মনে রাখতে হবে যে, প্রদত্ত অঙ্কগুলোর মধ্যে ০ থাকলে অবশ্যই সর্বডানে ০ বসাতে হবে।
৭, ৪, ০, ১, ৮ অঙ্কগুলো ব্যবহার করে গঠিত বৃহত্তম জোড় সংখ্যাটি হবে

ক্ষুদ্রতম বিজোড় সংখ্যা গঠণ
৭, ৪, ০, ১, ৮ অঙ্কগুলো ব্যবহার করে ক্ষুদ্রতম বিজোড় সংখ্যা গঠণের জন্য আমরা সবার প্রথমে বসাবো ক্ষুদ্রতম স্বার্থক অঙ্কটি। তারপর তার ডানে অন্যান্য অঙ্কগুলো মানের উর্ধ্বক্রমে (ছোট থেকে বড়) বসিয়ে যাবো, তবে সর্বডানে বসাবো বৃহত্তম বিজোড় সংখ্যা।
৭, ৪, ০, ১, ৮ অঙ্কগুলো ব্যবহার করে গঠিত ক্ষুদ্রতম বিজোড় সংখ্যাটি হবে

ক্ষুদ্রতম জোড় সংখ্যা গঠণ
অঙ্কগুলো ব্যবহার করে ক্ষুদ্রতম জোড় সংখ্যা গঠণ করতে হলে আমরা সবার প্রথমে বসাবো ক্ষুদ্রতম স্বার্থক অঙ্কটি। তারপর তার ডানে অন্যান্য অঙ্গগুলো মানের উর্ধ্বক্রমে (ছোট থেকে বড়) বসিয়ে যাবো, তবে সর্বডানে বসাবো বৃহত্তম জোড় সংখ্যা।
৭, ৪, ০, ১, ৮ অঙ্কগুলো দ্বারা গঠিত ক্ষুদ্রতম জোড় সংখ্যাটি হবে
